সমাজের মূল স্তম্ভ হচ্ছে আমাদের প্রবীণরা—যারা জীবনের পরিশ্রমী অধ্যায়গুলো পার করে আজ বয়সে পৌঁছেছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা, ত্যাগ, এবং শিক্ষা আমাদের সমাজ ও পরিবার গঠনের ভিত্তি। কিন্তু আমরা কি যথাযথভাবে তাঁদের মর্যাদা ও অধিকার দিচ্ছি?

বয়স্কদের অধিকার কেন জরুরি?

প্রবীণরা সমাজে সম্মান পাওয়ার যোগ্য। তারা আমাদের অতীতের ইতিহাস ও ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা।  স্বাস্থ্যসেবা, সম্মানজনক জীবনযাপন, পরিবারে স্থান ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ – এসব তাঁদের মৌলিক অধিকার।

ইসলামের আলোকে বয়স্কদের মর্যাদা:

আল-কুরআনে আল্লাহ বলেন:

“তোমার প্রতিপালক আদেশ করেছেন যে, তোমরা তাঁরই ইবাদত করো এবং পিতা-মাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করো। তাদের একজন বা উভয়ের বার্ধক্যে পৌঁছার সময় ‘উহ’ শব্দটিও উচ্চারণ করবে না।”

(সূরা আল-ইসরা, আয়াত ২৩)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং বড়দের সম্মান করে না, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।”

(তিরমিজি, হাদিস: ১৯২৭)

অন্য হাদীসে আছে:

“বয়স্ক মুসলিম যদি তার বয়স ও ধর্মের কারণে সম্মানিত হয়, তবে এটি আল্লাহর কাছে এক বড় নেক আমল।”

(আবু দাউদ, হাদিস: ৪৮৪৩)


প্রবীণ কল্যাণে নিঃস্বার্থ একজন যোদ্ধা – আব্দুল হালিম সাহেব



প্রবীণ কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম দীর্ঘদিন ধরে নিঃস্বার্থভাবে সমাজের অবহেলিত ও একাকী বয়স্ক মানুষদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।



  • বৃদ্ধদের চিকিৎসা সহায়তা
  • খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ
  • নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা – এইসব উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন, প্রবীণদের দায়িত্ব আমরা এড়াতে পারি না।

আসুন, আমরা সবাই মিলে প্রবীণদের প্রতি সম্মান, সহানুভূতি ও ভালোবাসার মাধ্যমে একটি মানবিক সমাজ গড়ে তুলি।





Previous Post Next Post