দুর্বৃত্তরা বুধবার (১৬ জুলাই) রাত নয়টার দিকে তাঁদের বাসায় ঢুকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
নিহতরা হলেন,লাইলি খাতুন (৭৫) এবং তাঁর নাতি পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন(২২)। এ সময় পারভেজের ছোট বোন বন্যাকেও (১৭) ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
![]() |
জোড়া খুনের ছবিতে দাদীশ্বাশুড়ি ও নাতবৌ। |
লাইলি খাতুন হরিখালী ইসলামপুর এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী বলে জানা যায়।
রাত ৯টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্তরা লাইলির বাড়িতে প্রবেশ করে হাবিবাকে তারপর লাইলিকে গলা কেটে হত্যা করে।এরপর তাঁর নাতি পারভেজ আলমের স্ত্রী হাবিবাকেও গলা কেটে হত্যা করে। এ সময় সেখানে থাকা পারভেজ এর ছোট বোন বন্যাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে সে গুরুতর আহত হয়।স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ(শজিমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক লাইলী বেওয়া ও হাবিবা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন।আহত বন্যাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
বন্যার প্রেম ঘটিত ব্যাপারে এমন হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন প্রাথমিকভাবে বন্যার সাবেক প্রেমিক একই এলাকার সোহেলের নেশাগ্রস্থ ছেলে সৈকত ইসলাম এই খুনের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্যা এবার এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। স্কুলে পড়াশোনার সময় স্থানীয় প্রতিবেশী সৈকত নামের এক যুবকের সঙ্গে বন্যার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সৈকত নেশাগ্রস্ত হওয়ায় পরিবারের চাপে তাঁদের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়।
এ কারণে সৈকত প্রায়ই বন্যাকে উত্ত্যক্ত করতেন এবং বিয়ে করার জন্য বন্যার পরিবারের ওপর চাপ দিতেন।বুধবার বাড়িতে কোনো পুরুষ না থাকায় সৈকতসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে বাড়িতে ঢোকেন।তখন বন্যার ভাবি হাবিবা তাঁদের দেখে গালিগালাজ করেন।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে হাবিবাক ছুরিকাঘাত এবং পরে লাইলী বেওয়াকেও গলায় ছুরিকাঘাত করা হয়।তখন বন্যা ছুটে এলে বন্যার পেটে ছুরিকাঘাত করে তাঁরা পালিয়ে যান।এ বিষয়ে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা বলেন,ছুরিকাহত বন্যা পুলিশকে সৈকতের নাম বলায় আমাদের একাধিক টিম সৈকতকে গ্রেপ্তারে কাজ করেছে।